প্রকাশিত: ০৬/০৫/২০১৭ ৭:০৮ এএম

বার্লিন: জার্মানিতে হিজাব পরিহিত মুসলিম নারীরা বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হলেও তাদের অধিকাংশই এ বিষয়ে কোন অভিযোগ দায়ের করেন না।

দেশটির ফেডারেল এন্টি ডিসক্রিমিনেশন এজেন্সির (এডিএস) প্রধান একথা বলেন।

আনাদোলু এজেন্সিকে দেয়া সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাত্কারে এন্টি ডিসক্রিমিনেশন এজেন্সির ক্রিস্টিন লাউডার্স বলেন, জার্মানির শ্রম বাজারে, ফিটনেস ক্লাবগুলিতে কিংবা অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া দেয়া-নেয়ার সময় হিজাব পরিহিত নারীরা প্রায়ই বৈষম্যের সম্মুখীন হয়।

তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষই জানে না যে জার্মানিতে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা নিষিদ্ধ।’

তিনি আরো বলেন, ‘ফিটনেস স্টুডিও কিংবা নিয়োগকর্তারা ধর্মীয় প্রতীক পরিধান করেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে না।’

লাইডার্সের তথ্যানুযায়ী, ফেডারেল অ্যান্টি-ডিসক্রিম্যানেশন এজেন্সি ২০১৬ সাল থেকে ২১,০০০টিরও বেশি বৈষম্যমূলক অভিযোগ পেয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র ৩০০টি হিজাব পরিহিত মহিলাদের দ্বারা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যদিও এই পরিসংখ্যান প্রকৃত সংখ্যা সম্পর্কে বেশি কিছু বলতে পারে না।’

লাইডার্স বলেন, ‘সাধারণভাবে, যখন আমরা বৈষম্যের কথা বলি তখন সেখানে সর্বদা অপ্রকাশিত অনেক বৈষ্যমের ঘটনা থাকে। কারণ অনেক মানুষ বৈষম্যমূলক আচরণকে অনকেটা নিরবে সহ্য করে যায় কিংবা এ বিষয়ে কোথায় সহায়তা পেতে পারে সেসম্পর্কে তারা জানে না।’

জার্মানি প্রায় ৪.৭ মিলিয়ন মুসলমান বাস করে। জার্মান সংবিধান দ্বারা দেশটির সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা হয়েছে।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুসলিম বিরোধিতার উত্থানের ফলে হিজাব পরিহিত মুসলিম নারীরা চরম বৈষম্য মুখোমুখি হচ্ছেন। শরণার্থী সংকটকে কেন্দ্র করে দেশটির কয়েকটি ডানপন্থী দল মুসলিম বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কম : ইইউ

সামরিক শাসিত মিয়ানমারে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা নেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের। কারণ এই নির্বাচন ...

‘হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে সহিংসভাবে করব’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে। প্রয়োজন হলে ...